পুজোর বাকি ১০দিন, জোরকদমে চলছে প্রতিমা তৈরি কাজ

সোহেল রানা, বাংলাদেশ: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ঘরে ঘরে দেবীদুর্গার আগমনী বার্তা। আর মাত্র কিছুদিন পর শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এজন্য মূর্তি বা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মৃৎশিল্পীরা। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে সরেজমিন ঘুরে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে। প্রতিমা শিল্পীদের অতি ভালোবাসায় ও নিপুণ আঁচড়ে তৈরি হচ্ছে এক একটি প্রতিমা।

ছবি: সোহেল রানা

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে আগামী ১৪অক্টোবর মহালয়ের মধ্যদিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাই চার দিকে চলছে এখন প্রতিমা তৈরীর কাজ। দুর্গাপূজা বাঙ্গালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় উৎসব। তাই মা দুর্গাকে বরণ করে নেয়ার জন্য এখন থেকেই দিনক্ষণ গোনার পালা শুরু করেছেন সনাতন হিন্দু ধর্মলম্বীরা। উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির তথ্য মতে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে সম্ভাব্য এবছর মোট ১২৬টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। যতদিন ঘনিয়ে আসছে ততই মানুষের মাঝে দেখা দিচ্ছে পূজার প্রস্তুতি।উপজেলার প্রতিমাশিল্পী রণজিত ও রনি কুমার পাল বলেন, এ বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ নিয়েছেন। বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে আসছি। এই বছরে আমাদের প্রতিমা তৈরিতে বেশি পোষাবে না। কারণ প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম ও কারিগরের মজুরিসহ সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। তবুও আনন্দের সঙ্গে প্রতিমা তৈরি করছি আমরা।

ছবি: সোহেল রানা

রাজারহাট উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ কর্মকার জানান, হিন্দু ধর্মালম্বীর সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এবার উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে এখনো তালিকা হাতে পাইনি তবে সম্ভাব্য মোট ১২৬টি দুর্গা মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রতিটি পূজাণ্ডপে কাজ শুরু হয়েছে এবং আমরা প্রতিটি পূজা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যেহেতু মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ হচ্ছে সেগুলোতে নিজ উদ্দ্যোগে পাহারা দেওয়ার কথা অবগত করা হয়েছে। রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী রায় বায়ান্নর আলোকে জানান, এবছর শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে রাজারহাট উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। পূজামণ্ডপগুলোতে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আলোচনাসভা করা হবে। থানা পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বিক তত্ববধানে থাকবেন। রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহহিল জামান জানান, আমরা রাজারহাট উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সকল সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সাথে একটি আলোচনা সভা করব। পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় রাজারহাট থানা পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।

Post a Comment

0 Comments