করোনা ও জনস্বাস্থ্য: ভারতের ভাগ্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা?

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: ভারতের ভাগ্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা। এমনটাই বলছেন 'শিল্পী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও বুদ্ধিজীবী মঞ্চ'-র সাধারণ সম্পাদক। সংগঠনের তরফে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে, তাতে সাধারণ সম্পাদক দিলীপ চক্রবর্তী ও সান্টু গুপ্ত বলেন, "দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের নাটকে বাংলাকে নিয়ে সিরাজদৌল্লার এই বিলাপোক্তিই মাথায় আসছে। সমগ্র দেশে আজ মৃত্যুর মিছিল, শ্মশানে দাহ হবার অপেক্ষায় সারিবদ্ধ মৃতদেহ, নদীতে ভাসমান অর্ধদগ্ধ মৃত মানুষের সারি; বিভ্রান্ত, অবিন্যস্ত মানুষ ইতস্তত ছুটে বেড়াচ্ছেন প্রয়োজনীয় ঔষধ, হাসপাতালের শয্যা, অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, ভ্যাকসিন বা অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজে, নিক্ষিপ্ত হচ্ছেন কালোবাজারিদের খপ্পরে, শিকার হচ্ছেন অসংবেদনশীল অব্যবস্থাপনার। এই দুঃসহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য তাঁরা খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাঁদের প্রধানমন্ত্রীকে যিনি অনেক বেশি দৃশ্যমান ছিলেন করোনা আক্রমণের প্রথম পর্বে।
বর্তমানে যেটুকু দেখা যাচ্ছে, তা হল দেশের সার্বিক প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতির অভাবে তাঁর সরকারের নিদারুণ ব্যর্থতা, অপারগতা এবং অসহায়তা। ভারতপ্রেমী দেশগুলি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, আবার আমাদের যথাযথ প্রস্তুতির অভাবের তীব্র সমালোচনাও করেছে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার একাংশ। প্রধানমন্ত্রীর এই ভাবমূর্তি দেশের সাধারণ মানুষের মনোবলের পক্ষে হানিকর। আমাদের আবেদন রাজ্য এবং কেন্দ্র দুই সরকারের কাছে আপনারা হাতে হাত মিলিয়ে এই সমস্যার মোকাবিলা করুন— সাধারণ মানুষের জীবনরক্ষা আপনাদের আশু দায়িত্ব ও কর্তব্য, সেই কর্তব্যসাধনে আপনারা একযোগে দেশকে এবং দেশের মানুষকে এই কালান্তক অতিমারির মারণযজ্ঞ থেকে রক্ষা করুন।

আরেকটি বিশেষ আবেদন রইল রাজ্য সরকারের কাছে। যেহেতু আমাদের রাজ্যে চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ (লকডাউন) ঘোষিত হয়েছে, তাই গরীব, নিম্নবিত্ত, অসংগঠিত ক্ষেত্র ও দৈনিক কাজের উপর নির্ভরশীল মানুষের আর্থিক ও খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা অতীব জরুরি।”

Post a Comment

0 Comments