খেলা নয়, চলছে খামখেয়ালিপনা

-আবু সামিম

"খেলনে কে লিয়ে ময়দান চাহিয়ে/ বাচ্চা-কে তারাহ  মোবাইল মে মাত খেলো……" "খেলা হবে" আজ সর্বত্র শোনা যাচ্ছে। খেলার কথা শোনা যাচ্ছে বাচ্চা থেকে বাচ্চার বাবা-কাকু-দাদু-ঠাম্মি পর্যন্ত। এতদিন খেলা হতো ময়দানে; আমরা সৌরভ গাঙ্গুলি, রহিম নবীর খেলা দেখেছি। খেলা হতো, দর্শক উপভোগ করত; হার-জিত মাঠেই সীমাবদ্ধ থাকত। দর্শক ভিনদলের  ভক্ত হলেও মনেপ্রাণে বাঙালি আবেগ থেকে বিন্দুমাত্র বঞ্চিত হত না।

সালটা ২০২১। বিশকে অতিক্রম করে কেটেছে মাস দুই। করোনার করুণ-দশা, সদ্য কাজ হারানো মানুষের হতাশা, চাকরির জন্য চাকরি প্রার্থীর তীব্র আওয়াজ, চারদিক যেন এলোমেলো, তারপর রাজনীতিতে রাজা হবার লড়াই।


দেশ গণতন্ত্রের ট্রাক-এ পা দিয়ে হাঁটতে চাইছে, সংবিধান নামক ইঞ্জিন নিয়ে। কিন্তু 'ও কাল তো কাল হি থা, আজ ভি হাল ওই হি হ্যায়"।  মূর্খ সিংহাসনের আসনে রাজার মত বসে অঘোষিত মস্তানি করছে আর প্রজারা মস্তান সেজে মাখামাখি করছে। টিএমসি পার্টির যুবনেতা এবং মিডিয়া মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য খেলা হবে গান লিখে এবং স্ব-কন্ঠ দিয়ে যে আলোড়ন তৈরি করেছে তার প্রতিক্রিয়া সেরকমই আলোড়ন ফেলেছে। বিজেপি, সিপিএম সবাই বলছে খেলা হবে।

আমার প্রশ্ন, ২০১৪ থেকে তাহলে কি তামাশা চলছিল? টিএমসি পার্টিই তো ২০১৪ থেকে খেলার জন্য বিজেপিকে বন্ধু করে ডেকে এনেছে সিপিএম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে খেলতে। আপনারা কম কাজ করেছেন, খেলেছেন বেশি। চাকরির নাম করে টাকা নিয়ে খেলেছেন। শিক্ষার নাম করে কলেজ-ইউনিভার্সিটি নিয়ে খেলেছেন। বেকার ভাতার নাম করে খেলেছেন। খেলতে খেলতে এতই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন; এখন ফুলটস বল দিলেও বোল্ড হয়ে যাচ্ছেন। বিজেমুলের নেতা আজ শুধু ফুল পরিবর্তন করছে আর মানুষকে ফুল (বোকা) করছে। 

ভোটের আগে ও পরে দলের, দালালির ধান্দার , দুশমনের, দুষ্টুমি ইত্যাদির অনেক পরিবর্তন হবে। ২০২১-এ এসে খেলার কথা মনে পড়ল? ভোটের সময় ভুট্টাকে খই ভাজা বললে আর হবে? বর্গী-মুরগি বললে আর হবে?

Post a Comment

0 Comments