ম্যানহোল-কাণ্ডঃ মালদহের চার শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চেয়ে ডেপুটেশন

বেঙ্গল মিরর ডেস্কঃ কলকাতার কুদঘাট অঞ্চলে ম্যানহোলে কাজ করতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের চার শ্রমিক। তাদের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে একটা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলেও তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা হয়নি। এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা পুরনিগমে বিক্ষোভ দেখাল মানবাধিকার সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস বা এপিডিআর। শুক্রবার দুপুরে সংগঠনটি তরফে পুরনিগমের সামনে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় এবং একটি প্রতিনিধি দল পুরপ্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।


তাদের তরফ দাবি করা হয়, ২০১৩ সালে আইন করে ম্যানহোলে মানুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে, তারপরও শ্রমিকদের ঢোকানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। যারা মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারকে অন্তত কুড়ি লক্ষ টাকা এবং আহতদের মাথাপিছু ১০ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে। প্রত্যেক পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরির দাবিও করা হয়। আগামী দিনে ঠিকা শ্রমিক প্রথা বিলোপ করে স্থায়ী শ্রমিক এবং আধুনিক সরঞ্জামের যেন বন্দোবস্ত করা হয় সে দাবিও রাখে এপিডিআর।
পুর-প্রশাসকের কাছে ডেপুটেশন প্রদানের পর সংগঠনের তরফে মানবাধিকারকর্মী রঞ্জিত শূর বলেন, তারা ডেপুটেশন দিয়েছেন। তাঁদের বলা হয়েছে, একটি বিশেষ কমিটি গঠিত হয়েছে সে কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্ত হবে। দোষীদের শাস্তি পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কলকাতা পুরনিগম।
প্রসঙ্গত, গত মাসের ২৫ তারিখ কুদঘাট এলাকায় ম্যানহোল পরিস্কার করতে গিয়ে মারা যান মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ব্লকের পূর্ব তালশুড় গ্রামের চার শ্রমিক। এ নিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও আর এক মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বিষয়টি নিয়ে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেন। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প নিগমের ভাইস চেয়ারম্যান তাজমুল হোসেনও পরিবারের পাশে ছিলেন।

কুঁদঘাটে ম্যানহোলে নেমে কাজ করতে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে মারা যান চারজন শ্রমিক। সকলেরই বাড়ি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত মালিওর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব তালশুড় গ্রামে। মৃত আলমগীর (৩১)– জাহাঙ্গীর আলম (২২) ও সাবির আলি (২০)-এর পিতা তুরাব আলি। অন্যজন  হলেন লিয়াকত আলি (২২)– পিতার নাম মুহাম্মদ হানিফ। অন্যদিকে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সলেমান (৩২) ও ইনজামুল হক (২২) পিতার নাম সাইদুর রহমান (মিস্ত্রী) ও শরিফুল ইসলাম (২২) পিতার নাম মফিজুদ্দিন।

Post a Comment

0 Comments