মহিলাদের ৩০% সংরক্ষণের আশ্বাসবাণী অমিত শাহের ভাঁওতা! লিখছেন- অনন্যা

অন্যান্য ব্যানার্জি

পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মহিলারাই সর্বাধিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। পরিবার বা সমাজে তাদের মতামত ফলতঃ গুরুত্বহীন। কিন্তু ভারতীয় সংবিধান মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে সমান ভোটাধিকার দিয়েছে। তাই ইভিএম-এ তাদের মতামত পুরুষ ভোটারদের মতই সমমূল্যের। এজন্যই রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ইচ্ছাপত্রে মহিলাদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করে। বিজেপির অমিত শাহজি ভোট ময়দানে আশ্বাস দিয়েছেন ক্ষমতায় এলে তারা সরকারি মহিলাদের জন্য ৩০% চাকরি সংরক্ষণ করবেন। অমিতজি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে ভালই জানেন বর্তমানে 7.5% (ST) + 15% (SC)+ 22% (OBC) = 49.5% সংরক্ষণের কোটা আছে। এর বেশি করা সম্ভব নয়। কারণ দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই সংরক্ষণের উর্দ্ধসীমা ৫০% এর নীচে রাখতে হবে বলে রায় দিয়েছে। এনিয়ে কয়েকটি রাজ‍্য সুপ্রিম র্কোটেও গেছে।


তাহলে আরও 30% সংরক্ষনের আশ্বাসবাণী কি নিছক ভাঁওতা নয়? এভাবেই স্বাধীনতা পরবর্তী যুগে মহিলাদের সঙ্গে হয়ে চলেছে ছল-চতুরী। সঙ্গে বেড়েছে পৌরুষের নির্লজ্জ দাম্ভিক প্রকাশ- কখনও হাতরাসে, কখনও নির্ভয়ার দিল্লিতে।
অথচ দেখুন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্মান দিয়েছেন গৃহকর্ত্রীকেই।স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে পরিবারের প্রধান (Head of the family) কোনও পুরুষ মানুষ নয়। এই প্রকল্পে বছরে ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা পরিষেবা পেতে হলে পরিবারের মহিলা সদস্যের কার্ড আবশ্যিক। শুধু এইভাবেই নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে মমতা সরকারে একের পর এক- কন্যাশ্রী, রূপশ্রী সবই। ২১-এ প্রত্যাবর্তনের পর সব পরিবারের মহিলাদের অর্থনৈতিক সহায়তা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন- তপশিলি সম্প্রদায়ভুক্তরা তো এখনই চক্রচর ও জয়জোহার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত। সাধারণ শ্রেণির মহিলারাও এবার থেকে এই সুবিধায়  মাসোহারা পাবেন। আজকে ১০৯ নং ওয়ার্ডের মহিলারা এজন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদজ্ঞাপন করলেন ছাতা- মিছিলের মাধ্যমে। মুখ্যমন্ত্রী সকলের মাথাতেই ছাতার মতন সুরক্ষা দিচ্ছেন এটাই তার প্রতীকী অর্থ।

Post a Comment

0 Comments