শেষ হয়নি করোনা, এখনও নেই ভ্যাকসিন তাই সচেতনতাই ভরসা: মত বিশেষজ্ঞদের

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: করোনা নিয়ে গোটা দুনিয়া আজ ত্রস্ত। ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত মানুষের আতঙ্ক থাকবে। এমন সময় কিভাবে নেওয়া হবে সর্তকতা? এ নিয়েই কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম পাল লিখেছেন 'কোভিড-১৯ ও জনস্বাস্থ্য' শীর্ষক বই। আজ শুক্রবার কলকাতা প্রেসক্লাবে বইটির উদ্বোধন হয়। দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোম্পানির কর্ণধার অরবিন্দ দাশগুপ্ত,  ডা. ডি. এন. বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রফেসর অর্ণব সেনগুপ্ত, ড. সুশীলচন্দ্র বিশ্বাস-সহ বিশিষ্টজনেরা বইটির মোড়ক উন্মোচন করছেন।
'কোভিড-১৯ ও জনস্বাস্থ্য' বইটির মোড়ক উন্মোচন করছেন অরবিন্দ দাশগুপ্ত,  ডা. ডি. এন. বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রফেসর অর্ণব সেনগুপ্ত, ডা. সুশীলচন্দ্র বিশ্বাস।

অধ্যাপক ও গবেষক  গৌতম পাল বলেন- কোভিড-১৯ একটি মহামারী (প্যান্ডেমিক), অত্যন্ত সংক্রামক হওয়ায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে গােটা বিশ্বে সংক্রামিত হয়েছে। এছাড়া ব্যাধিটি প্রাণঘাতী হওয়ায় এবং নিরাময়ে নির্দিষ্ট কোনও প্রতিষেধক বা টিকা না থাকায় ইতােমধ্যে এই ব্যাধিতে বহু মানুষের প্রাণনাশ ঘটেছে। আশার কথা, খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ নিরাময়ের টিকা (ভ্যাকসিন) চিকিৎসা ব্যবস্থায় প্রচলিত হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই এই সময় সার্বিক সচেতন থাকতে হবে। 'নিবারণ যে কোনও ব্যাধির নিরাময়ের শ্রেষ্ঠ পন্থা' এই প্রবচনটি আমরা প্রায় সকলেই জানি। কোভিড-১৯ ব্যাধিটিকে নিবারণ করার জন্য ব্যাধিটির কারণ ও সংক্রমণের কৌশল সর্বাগ্রে জানা দরকার তিনি আরও বলেন, তাঁর বইটি কোভিড-১৯ ব্যাধির রােগতত্ত্ব ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবনচর্যা সম্বন্ধে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করে কোভিড-১৯ নিবারণ করতে সাহায্য করবে। বইটির মাধ্যমে আমি আমার সামাজিক দায়বদ্ধতার ঋণ কিছুটা পরিশােধ করার চেষ্টা করেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাস্ক স্যানিটাইজার ইত্যাদির ব্যবহার করতে হবে। তবে হাত পরিষ্কার রাখা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সামাজিক অনুষ্টানে আলিঙ্গন, খাদ্য বা পানীয় ভাগ করে খাওয়া পরিহার করতে হবে। চিনের উহান প্রদেশের ল্যাবরেটরিতে নাকি করোনা ভাইরাস তৈরি হয়েছে বলে যে কথা বাজারে চলছে সে সম্পর্কে তিনি বলেন, ভাইরাস কখনই ল্যাবরেটরিতে হতে পারে না। করোনা একটি প্রাণী ভাইরাস।
এদিন অন্যান্য চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরাও সার্বিক সচেতনতার উপর জোর দেন। একইসঙ্গে ড. গৌতম পালের বইয়ের প্রশংসা করেন। এসএসকেএম বা পিজি হাসপাতালের ফিজিওলজির বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. অর্ণব সেনগুপ্ত বলেন, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ড. গৌতম পালের বইয়ের কিছু অংশ ছাত্রছাত্রীদের সহায়ক হবে। 

Post a Comment

0 Comments