সমকাজে সমবেতনের দাবি শিক্ষাবন্ধু কর্মচারীদের

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ প্রায় এক দশক ধরে শিক্ষা দফতরের গুরুত্বপূর্ণ কাজে অনন্য ভূমিকা পালন করে এলেও পারিশ্রমিক যৎসামান্য। দীর্ঘদিনের বঞ্চনার প্রতিবাদে এবং কাজের সম পরিমাণ বেতনের দাবিতে কলকাতা প্রেস ক্লাবে বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিল পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষাবন্ধু ঐক্যমঞ্চ। প্রসঙ্গত রাজ্যে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষাবন্ধু বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে নানান কাজে একমাত্র ভরসা। বিদ্যালয় পরিদর্শন, মিড ডে মিল, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া ইত্যাদির মতো নানান কাজ করে থাকেন শিক্ষাবন্ধুরা। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প যেমন কন্যাশ্রী বা জুতো বিতরণ ইত্যাদির কাজে বিদ্যালয় সমূহের সাথে সহযোগিতা মূলক কাজ করে থাকেন এরা। অথচ বেতন দেওয়া হয় যৎসামান্য। তাদের দাবি, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মীর বেতন মাত্র পাঁচ বছর চারশো টাকা। একজন প্যারা টিচার এর থেকেও কম। যা অনন্যা রাজ্যের তুলনায় ছয় থেকে সাত গুন কম এমনটাই দাবি। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষাবন্ধু ঐক্যমঞ্চের সম্পাদক বিভূতিভূষণ মন্ডল বলেন, আমরা একজন শিক্ষকের ভূমিকার সাথে সাথে পরিদর্শকের মতো যেমন কাজ করি পাশাপাশি বিদ্যালয়ের সাথে প্রশাসনের সমন্বয়েও মাধ্যম হিসেবে সব কাজ করতে হয়। তাই মাননীয় সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ মত আমাদের সমকাজে সমবেতনের দাবি। অন্যদিকে মঞ্চের রাজ্য কমিটির সদস্য ফারুক ইসলামের প্রশ্ন , জুতো সেলাই থেকে চণ্ডী পাঠ সবটাই করতে হয় তবে কেন বঞ্চনা? মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের দাবি না মানলে আগামী দিনে বড় ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, আগামী শনিবার শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত একটি ভুখা মিছিলের ডাক দিয়েছেন তারা।
মঞ্চে বামদিক থেকে রঞ্জিত সুর, অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র, বোলান গাঙ্গুলি, বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলি, মীরাতুন নাহার সহ অন্যান্যরা

    এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিচারপতি (অব.) অশোক গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মানবিক আবেদন সংবিধান প্রদত্ত অধিকার সমকাজে সমবেতন দিয়ে দীর্ঘদিনের বঞ্চনার অবসান হোক। অন্যদিকে এপিডিআর এর সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য রঞ্জিত সুর প্রশ্ন তুলেছেন, বারবার দাবির সপক্ষে স্মারকলিপি প্রদান করা হলেও কেন সদুত্তর মেলেনি? সমাজকর্মী বোলান গাঙ্গুলি, অধ্যাপিকা মীরাতুন নাহার প্রমুখ ।

Post a Comment

0 Comments