চোট কাটিয়ে বিশ্ব জিমন্যাস্টিকের আসর থেকে ব্রোঞ্জ জিতলেন দীপা কর্মকার

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক, তথ্য সংকলনে তুহিন শবনমঃ আর বসে থাকা নয় বরং সময় এখন ঘুরে দাঁড়ানোর। হ্যাঁ প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যে কিছু করে দেখানো যায় তার প্রকৃষ্টতম উদাহরণ হলেন ত্রিপুরার বাসিন্দা বাঙালি কন্যা দীপা কর্মকার। চোট কাটিয়ে বিশ্ব জিমন্যাস্টিকের আসর থেকে ব্রোঞ্জ জিতলেন তিনি। দেশ ও নারী জাতির মাথা উঁচু হল আবারও। প্রসঙ্গত মেরি কম সম্প্রতি এমনই একটি নাম। তিনিও বিশ্বসেরা ৷ বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার পদক জিতেছেন মণিপুরি কন্যা ৷ 48 কেজি ওজনে ইউক্রেনের হান্না ওকহোতাকে হারিয়ে ষষ্ঠবার বিশ্বখেতাব তুলে নিলেন তিনি।

      দীপা কর্মকার অলিম্পিকের পর হাঁটুর চোটের কারণে প্রায় বছর খানেক কোনওরকম প্রতিযোগীতামূলক টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারেননি। হাঁটুর চোট সারিয়ে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকের ওয়ার্ল্ড কাপ থেকে পদক দখল করা ছিল লক্ষ্য। সফল হলেনও। গতকাল জার্মানির কোটবাসে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টকের ভল্ট ইভেন্টে ১৪.৩১৬ স্কোর করে ব্রোঞ্জ পদক দখল করলেন তারকা জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার। প্রসঙ্গত ব্রাজিলের রেবেকা অ্যান্দ্রেদ ১৪.৭২৮ এবং যুক্তরাষ্ট্রের জেড ক্যারে ১৪.৫১৬ স্কোর করে যথাক্রমে সোনা ও রুপোর পদক গলায় ঝুলিয়েছেন।

        চোট কাটিয়ে ব্রোঞ্জ জিতে স্বভাবতই তিনি আবেগতাড়িত। এক টুইট বর্তায় প্রতিক্রিয়া জানাতে বলেন, ‘পৃথিবীর প্রথম সারির অ্যাথলিটদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারাটা একটা দারুণ অনুভূতি।' তিনি আরও বলেন, 'আজ এই ব্রোঞ্জ পদকও সোনা মনে হচ্ছে।’



এক নজরে দীপা-

১৯৯৩ সালে, ৯ আগস্ট ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমসে প্রথম ভারতীয় জিমন্যাস্ট হিসাবে ব্রোঞ্জ পদক জিতেন। দীপা কর্মকার জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতার সবচেয়ে কঠিন বিভাগ প্রদুনোভা ভল্ট সম্পন্নকারী পাঁচ নারীর মধ্যে একজন, যাতে তার স্কোর ছিল সর্বোচ্চ ১৫.১০০।এছাড়া সে এশিয়ান জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিল এবং ২০১৫ ওয়ার্ল্ড আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপে পঞ্চম স্থান অর্জন করে, উভয় ছিল তার দেশের জন্য প্রথম। শুধু তা নয় কম বয়সে সবচেয়ে বেশি সফলতা অর্জনকারী ভারতীয় প্রথম নারী জিমন্যাস্ট। ২০১৬ সালে দীপা প্রথম ভারতীয় নারী জিমন্যাস্ট হিসাবে অলিম্পিক গেমসের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে, যা ৫২ বছর পরে ভারতের প্রথম জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করে। 

Post a Comment

0 Comments