বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার ঘটনায় গোটা দেশের বুকে বড়সড় ক্ষত তৈরি হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ত্রাসবাদীদের গুলি ঝাঁজরা করে দিয়েছে ২৬ জনের প্রাণ। তাঁদের বেশিরভাগই সাধারণ পর্যটক। এই তালিকায় রয়েছেন বাংলার তিনজন। মানবিকতার স্বার্থে ভয়াবহ ঘটনায় স্বজনহারা পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়া সরকার। শনিবার নবান্নে মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, নিহত তিনজনের প্রতিটি পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে রাজ্যের তরফে। শুধু আর্থিক সাহায্য করেই পাশে থাকা নয়, পহেলগাঁওয়ে নিহত কলকাতার বিতান অধিকারীর মা-বাবার আর্থিক অবস্থা সঙ্গীন হওয়ায় এই পরিবারকে বাড়তি সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিতানের বাবার নামে একটি পেনশন ফান্ড করে দেবে সরকার। তাতে মাসে ১০ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। এছাড়া বিতানের মায়ের নামে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড করে দেওয়া হবে। এছাড়া বেহালা ও পুরুলিয়ায় নিহতদের পরিবারের কেউ চাকরি চাইলে, তার ব্যবস্থা করে দেবে রাজ্য সরকার। এসবই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।
![]() |
ছবি ফেসবুক থেকে |
এ দিন জরুরি ভিত্তিতে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তাঁর মাধ্যমে ফোনে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পহেলগাঁও হামলার পরপরই তীব্র নিন্দায় গর্জে উঠেছিলেন তিনি। হামলার প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে এবার নতুন জীবন ফিরে পাওয়া মানুষজনকে নিয়ে ভাবার সময়। আর সেটাই করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনার দিন তিনেক পর তিনি ঘোষণা করলেন, নিহতদের পরিবারের পাশে মানবিকতার স্বার্থে সবরকম সাহায্য নিয়ে বরাবর থাকবে রাজ্য সরকার। ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা তো জীবনের স্বতঃস্ফূর্ত চলন থামিয়ে দিতে পারে না। তাই জীবনের স্বার্থেই ফের ফিরতে হবে রোজকার ছন্দে। বিতান, সমীর, মণীশরঞ্জনের প্রিয়জনরা যাতে কোনওভাবে অসুবিধায় না পড়েন, তার দায়িত্ব নিল রাজ্য সরকার। শহিদ সেনা জওয়ানের পরিবারকেও দেখার কথা ঘোষণা করে রাজ্য।
0 Comments