বাংলায় ৭৫ লাখ বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি বিজেপির, মোদির বছরে ২ কোটি কোথায়? প্রশ্ন

আসিফ রেজা আনসারী


যেভাবেই হোক, বাংলার মসনদ চায় বিজেপি। সাম্প্রদায়িক তাস খেলার সঙ্গে এবার শুরু হল- বেকারদের নিয়ে ছিনিমিনি। এবার বিজেপির প্রতিশ্রুতি - ৭৫ লাখ চাকরি। কৃষকদের 'পেটে লাথি মারার' আইন নিয়ে যখন দেশ তোলপাড়, জাতীয় সংগীত নিয়ে যখন কুলুপ আঁটছেন বঙ্গ-বিজেপির নেতারা।তখন বিষয়টা খুব তাৎপর্যপূর্ণ।


কেন-না, রাজ্যের যুবকদের চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড দেবে বিজেপি । সাংবাদিক বৈঠক থেকে গতকাল এই ঘোষণা করেন সৌমিত্র খাঁ। পাশে ছিলেন শ্রীমান মুকুল রায়। (যিনি একসময় প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতে গুজরাত দাঙ্গার রক্ত লেগে আছে বলে মন্তব্য করেন, এখন বিজেপিতে গিয়ে অবশ্য মোদিই তাঁর পূজ্য।) 

সৌমিত্র খাঁ বলেন, "৫ বছরে ৭৫ লাখ যুবকের কাছে যাব ৷ বেকারদের নাম, ঠিকানা লিখে নিয়ে আসব ৷ চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড দেব ৷ বিজেপি ক্ষমতায় এলে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে ৷"

সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় বলেন, "সিঙ্গুর থেকে টাটাকে তাড়িয়ে দেওয়াটা বড় ভুল।" শিল্প সম্মেলনের খরচ নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, "৯টা মেলা হয়েছে, কিন্তু সেই হিসেবে বিনিয়োগ হয়নি । শিল্প সম্মেলন হলেও বিনিয়োগ হয়নি। শিল্প সম্মেলনে কত খরচ হয়েছে, শ্বেতপত্র দিয়ে তা জানাক রাজ্য সরকার।" মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মুকুল রায় বলেন, "বাংলার যুব সমাজকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন চপ ভাজতে ৷ বর্তমানে বাংলায় বেকারত্বের হার প্রায় ১৮ শতাংশ ৷ বেকার যুবকদের ভবিষ্যত নিয়ে রাজনীতি করবেন না ৷" এদিকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগও তুলেন তিনি । আবারও রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানান । বলেন, "এখনই রাজ্যে ৩৫৬ লাগু হওয়া উচিত।"

রাজ্যে প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু প্রতিশ্রুতি না হয় দিলেন, কিন্তু রাখবেন কি? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। অনেকেই প্রকাশ্যে লিখছেন- নতুন প্রতিশ্রুতি নাই বা দিলেন, অন্তত মোদির দেওয়া বছরে ২ কোটি চাকরির বন্দোবস্ত করা হোক। ১৫ লাখ টাকা করে নাই বা দিলেন, কৃষকদের ফসলের নায্য দাম দিন। আর শিল্প? থাক সে কথা। রেল, বিমান, কয়লা খনি সবই তো বেচে দিচ্ছেন। এমনই কটাক্ষ সোশ্যাল মিডিয়াতে। আইনশৃঙ্খলা? বিহার উত্তরপ্রদেশের দিকে তাকালেই 'আচ্ছে দিন' ও 'বেটি বাঁচাও' - এর মানে সুস্পষ্ট।

যে কথা বলতে হবে-

তৃণমূলের আমলে রাজ্যের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের বেহাল দশা, পতনের চালিকাশক্তি। উন্নয়ন হয়েছে, মানতেই হবে। দূর্নীতি বন্ধে সাহস দরকার মাননীয়ার। আছে! তা না হয়, সময় বলুক?

Post a Comment

0 Comments