নিজস্ব প্রতিবেদন, বেঙ্গল মিরর: রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প-কারখানা বাঁচানো, সমকাজে সমবেতন, ফসলের ন্যায্য দাম ও এনআরসি বিরোধিতা সহ একাধিক দাবিতে ১২ দিনের লং মার্চ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হল বুধবার। লং মার্চের পর এদিন রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের সমাবেশে তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিল। আগামী ৮ জানুয়ারি দেশজুড়ে ধর্মঘট হবে বলে ঘোষণা করেন বাম নেতৃত্ব।
|
ছবি নিজস্ব |
উল্লেখ্য, শ্রমিক-কর্মচারীরা ১২ দফা দাবির ভিত্তিতে গত ৩০ নভেম্বর পশ্চিম বর্ধমানের চিত্তরঞ্জন রেলইঞ্জিন কারখানা থেকে লং মার্চ শুরু করে এবং ২৮৩ কিলোমোটার অতিক্রম করে এ দিন কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। বাম শ্রমিক সংগঠনের আহ্বানে আয়োজিত লং মার্চে যোগ দিয়েছিল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনও। প্রায় হাজার দশেক লোকের মাঝে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী বা বাম শ্রমিকনেতা অনাদী সাহু, শ্রমিক সংগঠন সিটুর রাজ্য সভাপতি তপন সেন, কংগ্রেসের শ্রমিকনেতা মুহাম্মদ কামরুজ্জামান কামার, কৃষকনেতা অতুল রঞ্জন ও ডি দেবরাজন সহ একাধিক নেতা সভায় উপস্থিত থেকে দাবির স্বপক্ষে বক্তব্য দেন।
|
ছবি সন্দীপ সাহা |
রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের বিলগ্নীকরণ রোধ, সরকারি সংস্থাগুলিকে বিক্রি করে দেওয়া ও এনআরসি ইস্যুকে কেন্দ্র করে শ্রমিক-কর্মচারীদের লং মার্চের সমর্থনে হাওড়া, শিয়ালদা– যাদবপুর, খিদিরপুর ও পার্ক-সার্কাস থেকে একাধিক মিছিল এ দিনের সমাবেশে যোগ দেয়। এ দিন বাম নেতারা অভিযোগ করেন, ধর্মীয় জিগির তুলে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। আসল সমস্যাকে আড়াল করে দেশ বিক্রি করে দেওয়ার পথে নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের সংবিধান ও বহুত্ববাদ আক্রান্ত। তপন সেনও বলেন– এনআরসি-র নামে বিভাজন করা হচ্ছে। শ্রমিক মজুরদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলনই পথ বলে তিনি মন্তব্য করেন। পাশাপাশি দেশের ঐক্য ও ধর্মনিরপেক্ষরা রক্ষা করতেও সকলের কাছে আহ্বান জানান তিনি। অতুল রঞ্জনও আরএসএসের সমালোচনা করেন এ দিন। তিনি আরএসএসকে গান্ধিজির হত্যাকারী আখ্যা দিয়ে জাতপাতের খেলার তীব্র সমালোচনাও করেন। তিনি বলেন, শ্রমিকরা দেশ বিক্রির খেলা রুখে দিতে পারে। আর তা করবোই।
0 Comments