ধনঞ্জয়ের ফাঁসি: পুনর্বিচারের আর্জি নিয়ে রাষ্ট্রপতি–প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: ২০০৪ সাল হেতাল পারেখ ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ফাঁসি হয়েছিল বাঁকুড়ার ছাতনা কুলুডিহির ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের। এরপরে পেরিয়ে গেছে একুশ বছর। এবার সেই মামলায় পুনর্বিচারের জন্য হস্তক্ষেপ চেয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দ্বারস্থ হল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। মঞ্চের দাবি, ধনঞ্জয় নির্দোষ। আসল অপরাধীকে আড়াল করার জন্যই ধনঞ্জয়কে ফাঁসির কাঠে ঝোলানো হয়েছে৷ তাঁদের বক্তব্য, ১৪ বছর ধরে জেলে থাকা ধনঞ্জয়কে যেভাবে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল তা ভারতের ইতিহাসে কোনও দিন ঘটেনি। শুধুমাত্র পারিপারর্শিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই মামলায় ধর্ষণের অভিযুক্তকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। পুনর্বিচার হলেই আসল সত্য সামনে আসবে।

নিজস্ব চিত্র 

প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালের ৫ মার্চ হেতাল পারেখ হত্যাকাণ্ডে গোটা রাজ্য কেঁপে উঠেছিল। কলকাতায় নিজের বাড়িতেই নৃশংস ভাবে খুন হন ওই তরুণীকে। হেতলদের আবাসনেই নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। মামলা তার নাম জড়িয়েছিল। দীর্ঘ ১৪ বছর জেলে থাকার পরে ২০০৪ সালে ১৫ অগস্ট তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তবে কুলুডিহি সহ ছাতনার মানুষের দাবি 'ধনঞ্জয় দোষী নয়, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছিল।'

এ নিয়ে অখিল ভারতীয় হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি তথা ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চের কনভেনর চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেন, "এই মামলায় যদি কোনও চক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে এর নেপথ্যে কারা কারা রয়েছে, তা খুঁজে বের করা দরকার। ধনঞ্জয় এক গরিব পরিবারের ছেলে ছিল। তাকে ফাঁসিয়ে যদি আসল অপরাধী বাইরে থাকে, তাহলে হেতল পারেখও ন্যায় পাননি। ফলে এই মামলা পুনর্বিচার হওয়া উচিত। এই মামলা সমস্ত তথ্য আমরা কাছে রয়েছে। সেই তথ্য নিয়েই আমরা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুনর্বিচারের আবেদন জানিয়েছি।"

Post a Comment

0 Comments