অধ্যাপক রবিউলের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারির দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

আসিফ রেজা আনসারী 

তোলাবাজদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে ঈদের দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অধ্যাপক তথা বিশিষ্ট সমাজকর্মী রবিউল ইসলাম। সেই ঘটনার প্রায় পাঁচ দিন কেটে গেলেও এখনও দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার হননি। আর এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে থানা-পুলিশের কাছে বারবার বিষয়টি নিয়ে তদবির করা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাই এবার পথে নামার হুঁশিয়ারি দিল নাগরিক সমাজ। সোমবার বসিরহাটে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। এই সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। শুধু রবিউল ইসলামের উপর হামলাকারী নয়, এলাকার সমস্ত দুষ্কৃতীদের ধরতে হবে বলেও দাবি উঠেছে এ দিন।

সোমবার বিকালের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক সংগঠন ঐকতানের সদস্য তথা বিশিষ্ট শিক্ষক সাহানাজ আলম, নেশনস ভয়েসের সাধারণ সম্পাদক মাতিন মুফতি, আইনজীবী আবদুল হান্নান, মিজানুর রহমান রোহিত প্রমুখ।

নিজস্ব চিত্র 

সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যাপক রবিউল ইসলামের আইনজীবীরা জানান, স্বরূপনগর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে তোলাবাজি চালাচ্ছেন অভিযুক্ত মাঞ্জুর আলম বিল্লাহ। সে নানাভাবে মানুষকে হয়রান করছে। প্রশাসনের যোগসাজসে মাঞ্জুর আলম বিল্লাহ তোলা তুলছে। আর এই কাজে স্থানীয় ভূমি-রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরাও জড়িত বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রায় মাসখানেক আগে স্বরুপনগর থানার গোয়ালদহ গ্রামের বাসিন্দা বাবলু গাজি চায়ের দোকান করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সে সময় দেড় লক্ষ টাকা দাবি করেছিল অভিযুক্ত। তার দাবি মতো টাকা না দেওয়ায় ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের তরফে বাবলু গাজিকে একটি মিথ্যা নোটিশ ধরানো হয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করেন অধ্যাপক রবিউল ইসলাম। 

ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজের শুধু প্রতিবাদই নয় তিনি আইনি পদক্ষেপ শুরু করেন রবিউল ইসলাম। আর তার ফলে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল অভিযুক্ত মাঞ্জুরআলম বিল্লাহ। এ দিকে তোলাবাজি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অভিযুক্ত মাঞ্জুর আলমের সাঙ্গোপাঙ্গরা রবিউল ইসলামের উপর হামলার হুমকি দিয়েছিল।ঈদের দিনেই জনসম্মুখে রবিউল ইসলামের উপর প্রাণঘাতী হামলা করে অভিযুক্ত মাঞ্জুর ও তার দলবল। তার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার বেশ কয়েকদিন কেটে গেল কেন অভিযুক্তরা গ্রেফতার হচ্ছে না তা নিয়ে অনেকে সরব হন।

এরই মধ্যে সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন মাতিন মুফতি। এই সময়ের মধ্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ না করা হলে গণআন্দোলন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। অন্যদিকে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের মোবাইল বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের তরফে মোবাইল লোকেশন ট্র্যাকিং করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশ আধিকারিকরা।

Post a Comment

0 Comments