দ্রুত বাস্তবায়িত হোক মমতার প্রতিশ্রুতি, চাইছেন অনুমোদনহীন মাদ্রাসা শিক্ষকরা

আসিফ রেজা আনসারী

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া এলাকায় যেখানে সরকারি কোনও স্কুল নেই, সেই সব প্রত্যন্ত গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে অসংখ্য মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসাগুলির সরকারি কোনও অনুমোদন নেই। তারা সরকারি কোনও সাহায্য পায়না। এমন প্রায় দশ হাজার মাদ্রাসাকে সরকারি স্বীকৃতি দিতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর প্রায় ১৩টি বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু সরকার এইসব মাদ্রাসাকে আজও অনুমোদন দেয়নি। তবে সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমামদের সমাবেশ এবং বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, তিনি বেশ কিছু মাদ্রাসাকে অনুমোদন দেবেন। তারপরও কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। যদিও ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বেশ কিছু মাদ্রাসা পরিদর্শন করে রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধিরা। এবার সরকারিভাবে এই সমস্ত মাদ্রাসাগুলি অনুমোদন পাক, বাস্তবায়িত হোক মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি। এমনটাই চাইছে ওয়েস্ট বেঙ্গল মাদ্রাসা টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। 


এ নিয়ে সম্প্রতি সংগঠনের সদস্যরা একটি জরুরি সভায় মিলিত হন। বৃহস্পতিবারের এই সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনের রাজ্য কার্যকরী সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ জরিফুল ইসলাম, সভাপতি মাওলানা শামসুল আরেফিন, রাজ্য যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা রুকুউদ্দিন লস্কর, মুহাম্মদ সামিউল ইসলাম, আহ্বায়ক মাওলানা শহিদুল ইসলাম সহ রাজ্য কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিধীরাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এ নিয়ে জরিফুলইসলাম বলেন, মিটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ৩১ জুলাই বিধানসভায় ও ২১ আগস্ট কলকাতা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে গোটা রাজ্যে ৭০০ অনুমোদনহীন আন-এডেড মাদ্রাসাকে অনুমোদন দেবে বলে ঘোষণা করেন, সে সমস্ত মাদ্রাসাকে অবিলম্বে অনুমোদন করবার লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা হয়। সরকারের কাছে চিঠি দেওয়া ও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা নিয়ে বিস্তারিত কথা হয়েছে। 

Post a Comment

0 Comments