ফরাক্কা ব্রিজ: কোটি কোটি টাকার তোলাবাজির অভিযোগ তৃণমূল বিধায়ক চন্দনার বিরুদ্ধে

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার নতুন ফরাক্কা ব্রিজ থেকে কোটি কোটি টাকার তোলাবাজি করছেন। শুধু তাই নয়, একপ্রকার ভয় দেখিয়ে ঠিকাদারি সংস্থাকে নিম্নমানের মাল সরবরাহ করে কাজ করাতে বাধ্য করছেন বলেও অভিযোগ। সম্প্রতি হোয়াইট পলিটিক্স নামে একটি ফেসবুক পেজে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও খবর লেখা পর্যন্ত বিধায়কের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ডানদিকে ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট

ফেসবুকে হোয়াইট পলিটিক্সের ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, " নিউ ফারাক্কা ব্রিজ প্রজেক্টের ৫২১ কোটি টাকার মধ্যে কিভাবে এমএলএ চন্দনা সরকার  কোম্পানির কাছে থেকে কাটমানি নিচ্ছে দেখুন (কোম্পানী থেকে দেওয়া তথ্য) ১) নতুন ফরাক্কা ব্রিজের কাজে যতো ম্যাটেরিয়ালস, বালি, পাথর, লাগে সব এমএলএ চন্দনা সরকারের স্বামী পরিতোষ সরকার (বাচ্চু মাস্টার ) উচ্চদামে জোর করে নিতে বাধ্য করে। এবং অনেক সময় বালি বা পাথরের কোয়ালিটি ভালো না থাকলে কম্পানির ইঞ্জিনিয়াররা ঐ খারাপ বালি ও পাথর নিতে না চাইলে ইঞ্জিনিয়ারদের ধমকে ভয় দেখিয়ে নিতে বাধ্য করায়। ২) এই ব্রিজ প্রজেক্টে যতো গুলো কন্ট্রাকটর কাজ করে এমএলএ ৩০ শতাংশ কমিশন নেয় তবেই কাজ করতে দেয়। ৩) এই নতুন ফরাক্কা ব্রিজে গাড়ি ও মেশিনারির জন্য যতো ডিজেল ও পেট্রোল লাগে সব জোর করে এমএলএ তার নীজের পেট্রোল পাম্প থেকে কিনে নিতে বাধ্য করে কম্পানিকে। ৪) ব্রিজের যখন কাজ শুরু হয় ৭ বছর আগে তখন স্থানীয় অনেক লেবার ও সুপারভাইজার, ইলেকট্রিশিয়ান ও আরো অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট অনেক লোক নিয়েছিল কম্পানি। এই সব কাজের লোকেদের কাছে থেকে  এমএলএ চন্দনা সরকার ১ লক্ষ টাকা করে নিয়ে তবেই কম্পানিতে কাজে লাগিয়েছে। ৫) কোম্পানিতে ২৫টা ইউনিয়ন লেবার দিয়েছে এমএলএ, তাদের এক জনের দিয়ে উপর মাসে ৪০০০ টাকা কমিশন নেয়। অর্থাৎ সেই ২৫ জনকে কোম্পানি মাসে ১৫০০০ দেয় আর এমএলএ সেই লেবার গুলোকে ১১০০০ করে দেয়... এবার অংক করুন এমএলএ মাসে কত পায়। ৬) এমএলএ এর যখন ইচ্ছে হয় তখন কোম্পানি থেকে প্রায় সিমেন্ট, বালি, পাথর, রড বা স্টিল মন মতো নিয়ে যায় ডাকাতের মতো। কম্পানির ম্যানেজমেন্ট ভয়ে কিছু বলতে পারে না। যা চাই তাই দিয়ে দেয়। ৭) যেহেতু এখনো নতুন ফরাক্কা ব্রিজের পুরো কাজ সম্পন্ন হয়নি তাই পাবলিক যাওয়া নিষেধ আছে।কিন্তু এমএলএ–এর ছেলে দেবব্রত সরকার ১২ লক্ষ টাকা দামের বাইক ও তার অনেক বন্ধু নিয়ে নতুন ব্রিজ গিয়ে বাইক রেস ও অনেক হৈচৈ করে। ব্রিজ কর্তৃপক্ষ ব্রিজের ভেতরে যেতে বারন করলে বলে এমএলএ চন্দনা সরকারের ছেলে আমি, আমাকে যেতে না দিলে ব্রিজের কাজ বন্ধ করে দেবো ধমকি দেয়..."

আরও অভিযোগ করা হয়েছে," সব মিলিয়ে নতুন ফরাক্কা ব্রিজের কাজ থেকে গতো ৭ বছরে এমএলএ চন্দনা সরকার ও তার স্বামী পরিতোষ সরকার মিলে এখন পযর্ন্ত কাটমানি ও কমিশনে অবৈধভাবে প্রায় ২০ কোটির উপরে কামিয়েছে।"

Post a Comment

0 Comments