বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: শান্তনু ঠাকুর সম্প্রতি বিদ্রোহ করেছেন। প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন তিনি। তারপর একটি পিকনিক করেন। সেখানে ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারি। তাদের শোকজ করেছে দল। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ শান্তনু ঠাকুর। তিনি আবারও মুখ খুলেছেন। তবে কী বিজেপি ছাড়তে চলেছেন ‘বিদ্রোহী’ শান্তনু? তা অবশ্য সময় বলবে। কিন্তু তিনি যে নিজের অবস্থানেই রয়েছে, তা নিশ্চিত।
প্রসঙ্গত, বঙ্গ–বিজেপিতে দলীয় কোন্দল নতুন নয়। তাদের সমস্যা চিরদিনের। ভোটের আগে রাজ্যের শাসকদল থেকে নেতা ভাঙিয়ে অনেকেকেই বিজেপিতে জয়েন করা হয়। মোদি–হাওয়ায় ভর করে উতরে যেতে চেয়েছিল বিজেপি, কিন্তু তা হয়নি। বরং লোকসভা ভোটের তুলনায় বিজেপির ভরাঢুবি হয়েছে। বিধানসভা ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর ভেঙেছে দল, বেড়েছে কোন্দল। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে থাকে প্রতিদিন। অবশ্য বদল করা হয় বঙ্গ–বিজেপির সাংগঠনিক পদও।নতুন রাজ্য সভাপতি করা হয় সুকান্ত মজুমদারকে।তিনিও কিছুটা চেষ্টা করলেও সমস্যা মেটাতে পারেননি। কিছুদিন ধরেই বিজেপির অনেক নেতা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে থাকেন। কিছুদিন আগেই দলের 'বিদ্রোহী' শান্তনু ঠাকুর ও অন্যান্যরা পিকনিক করেন। সেখানে যোগ দেন জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারি। সেটা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এবার তাদের শোকজ করল দল। রবিবার জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ নোটিশ ধরিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
Pic: Jayprakash Majumder and Ritesh Tiwari |
এদিকে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘শোকজ করেছে করুক না। যা করতে চায় ওরা করুক। আমার সঙ্গে আরও অনেক নেতা বৈঠক করবেন। সারা পশ্চিমবঙ্গের বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা বৈঠক করবেন। সবাইকে কি বাদ দিয়ে দেবে? সব বিক্ষুব্ধদের বাদ দেওয়া কি সম্ভব?’ প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ।
0 Comments