কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের নিয়ে দাঙ্গার পরিকল্পনা ছিল রাজীবের, বিস্ফোরক কল্যাণ

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের তিনি ছিলেন সেচমন্ত্রী। দায়িত্ব সামলেছেন বন দফতরের মন্ত্রিত্ব। ভোটের আগে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। করেছেন একের পর বিষোদ্গার। ভোটের পর অবশ্য লাভ করতে পারেননি তিনি। দলবদলুরা কেউই সুবিধা করতে পারেননি। ফের তৃণমূলে ঢুকতে শুরু করেছেন তারা। মুকুল রায় স–পুত্র তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এবার একই পথে রাজীব। যদিও বিষয়টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর নির্ভর করছে। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে– মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই অভিযোগ করেছেন বন ও সেচ দফতরের কাজে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। নিশানা যে  রাজীব, সে কথা সকলেই বোঝেন। যদি দলে ফেরানো হয় তবে বিষয়টা দাঁড়াবে চোরকে দলে নেওয়া। কিন্তু সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন তা মারাত্মক। এর পরও যদি রাজীবকে দলে নেওয়া হয় তবে, মমতা অসাম্প্রদায়িক মুখ নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।

কেন–না, এবার প্রকাশ্যে রাজীব প্রসঙ্গে আরও বিস্ফোরক কল্যাণ। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ভোটের আগে হাওড়ায় কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের এনে দাঙ্গা করানোর পরিকল্পনা ছিল রাজীবের

এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, খুব ধর্মনিরপেক্ষতার কথা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন না। ১০ এপ্রিল নির্বাচন হল। ঠিক তার ৫ দিন আগে বাঁকড়াতে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের এনে মিছিল করে রায়ট বাধানোর চেষ্টা করেছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন পর্যবেক্ষকের নির্দেশ পুলিশ সেই মিছিল আটকে দেয়। পুলিশও তো তখন নির্বাচন কমিশনের আন্ডারে ছিল।আর পর্যবেক্ষকরা তো আমাদের লোক নন। তাহলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সেদিন মিছিল করত, কী হত? বাঁকড়াতে তো দাঙ্গা লেগে যেত! আজকে খুব চোখ পাল্টি করে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলছ?”

শনিবার কুণাল ঘোষের বাড়িতে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বেরিয়ে প্রকাশ্যেই তিনি বিজেপির নীতির সমালোচনা করেন। সূত্রের খবর, রাজীব নাকি কুণালের কাছে এও বলেছেন, এ রাজ্যে সিএএ ও এনআরসি জারি করে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চলছে। কুণাল-রাজীব সাক্ষাতের ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানেই রাজীব প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।অবশ্য শনিবারই এ প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেছিলেন, “রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্যালু ইজ জিরো, সেটা প্রমাণ করে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। এরপর ওঁকে নিলে কী উপকারিতা হবে না অপকারিতা হবে, সেটা দল বুঝবে! কুণাল যদি সিদ্ধান্ত নেয় নেবে…”

Advt
অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি বললেন, “দিদির কাছে অনুরোধ করব, অন্তত হাওড়ায় যারা বেরিয়ে চলে গিয়েছেন, তাদের আর ঘরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।রাজীব প্রসঙ্গে এখন আড়াআড়িভাবে বিভক্ত তৃণমূল শিবির। তবে সূত্র বলছে, সব কিছু ঠিক থাকলে এই সপ্তাহের শুরুতেই ফুল বদলাচ্ছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দাঙ্গার ইন্ধনদাতা রাজীবকে তবে দলে নেবে তৃণমূলে!

Post a Comment

0 Comments