মার্কেট স্ট্র্যাটেজিতেও 'খেলা হবে' স্লোগান!

আসিফ রেজা আনসারী

পশ্চিমবঙ্গসহ পাঁচ রাজ্যে বেজেছে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা। সব দলই কোমর বেঁধে নেমেছে ভোট-ময়দানে। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল অবশ্য এই মুহূর্তে প্রচারে অনেকটাই এগিয়ে। তবে সংস্কৃতিমনা বামেরাও পিছিয়ে নেই। ‘টুম্পা’ গানের প্যারোডি বের করে ইতিমধ্যেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। যদিও এই গান নিয়ে ঢের সমালোচনাও হয়েছে। এরই মধ্যে সন্দেশ বা মিষ্টিতে বিভিন্ন দলের প্রতীক বা ‘খেলা হবে’ স্লোগানে ছয়লাপ। বাদ যাচ্ছে না চুরিদার কিংবা কুর্তিও। নিউ মার্কেট চত্ত্বরে এখন ‘খেলা হবে’ লেখায় ভর্তি নানান ডিজাইনের জামা-কাপড়। ছেলেদের টি-শার্টের মতো মেয়েদের চুরিদার বা কুর্তিতেও এখন ‘খেলা হবে’ স্লোগান।



প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের এক সাংসদ তাঁর বক্তব্যে ‘খেলা হবে’ স্লোগান দেন। তিনি অবশ্য বিরোধীদের কটাক্ষ করতেই বলেছিলেন– ‘২৪ তারিখের পর খেলা হবে!’। ফেসবুক-ট্যুইটারে ‘মিম’ হিসাবেই এতদিন খেলা হবে শোনা যেন। দুই বাংলাতেই এই স্লোগান সমান জনপ্রিয়তা লাভ করে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার ‘মিম’কেই রাজনৈতিক স্লোগানে রুপান্তরিত করেছেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে ‘কেষ্টদা’। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলই নন, এবার ডান-বাম-বিজেপি সকলের মুখেই খেলা হবে স্লোগান। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়– প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলছেন খেলা হবে।

সেই স্লোগানই এখন মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি। পোশাক-শিল্পে অবলীলাক্রমেই জায়গা করে নিয়েছে ‘খেলা হবে’ স্লোগান। নিউ মার্কেট চত্ত্বরের দোকানদাররা বলছেন, মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বাজারে নতুন ডিজাইনের জামা-কাপড় আসে। এবার ভোটের মরশুমে ‘খেলা হবে’ খুব হিট– তাই এ নিয়েই ডিজাইন করেছে প্রস্তুতকারীরা। এক প্রশ্নের জবাবে এক দোকানদার জানান, একেবারেই নতুন ডিজাইন এসেছে। সাড়াও ফেলেছে ‘খেলা হবে’ কুর্তি। তিনি আরও জানান, মূলত তরুণ প্রজন্মই এইসব হরেকরকম ডিজাইন ও স্লোগানের জামা-কাপড় কিনছে। অন্য এক দোকানদার বলেন– খেলা হোক না– আমাদেরও একটু পয়সা আসবে পকেটে। আর এক জনের কথায়– খেলা হোক– তবে মানুষের জীবন নিয়ে যাতে না হয়। ভোট শান্তিতেই দেখতে চাই। রঙ্গ-রসের খেলা হোক– রক্তের যাতে না হয়।

(সৌজন্য: পুবের কলম)

Post a Comment

0 Comments