স্কুল-কলেজের পডুয়ারাই তৈরি করে দিল রিয়াজুলের রান্নাঘর ও শৌচালয়

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: একদিকে যখন ফেসবুকের মাধ্যমে একটি বিশেষ গোষ্ঠী ভুয়ো সংবাদ ও হিংসা চড়াচ্ছে, তখন কিছু কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সাধারণের কাছে বাড়িয়ে দিচ্ছে মানবিকতার হাত। তাদেরই দলে "ছাত্র সমাজ"। কালিয়াচক, মোথাবাড়ি, মালদা টাউন বা হবিবপুরের পড়ুয়ারা নিজেরা ফেসবুকের মাধ্যমেই গড়ে তুলেছে গ্রুপ। সকলেই যেহেতু পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত তাই দলের নাম রেখেছে "ছাত্র সমাজ"। আর তার মাধ্যমে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন গুটিকয়েক পড়ুয়া। ঠিক এভাবেই রিয়াজুলের পাশে দাঁড়াল "ছাত্র সমাজ"।
প্রসঙ্গত, রিয়াজুল কালিয়াচকের কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা। বড় অভাবের সংসার। সরকারিভাবে তেমন সাহায্য পাননি। আগে খেটেখুটে সংসার চালাতেন, কিন্তু বর্তমানে অসুস্থ। কথা প্রসঙ্গেই একদিন সমস্যার কথা জানান ওবায়দুর রহমানের কাছে। ফেসবুকের মাধ্যমেই তিনি সামির রহমান ও দলের অন্য সদস্যদের তা জানান। সবাই খবর নিয়ে জানতে পারেন যে, পরিবারটি সত্যিই খুব অসহায়। ঘরে না আছে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, না আছে শৌচালয় বা রান্নাঘর।
কয়েকদিনের মধ্যেই সামির ও তার দলবল মিলে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, বাচ্চাদের জন্য নতুন জামাকাপড়, ঘরের জন্য বাঁশ এবং ত্রিপল ইত্যাদি জিনিস নিয়ে হাজির সেই পরিবারের কাছে। বাড়ির বাচ্চাদের পরিয়ে দেওয়া হয় নতুন জামাকাপড়। তৈরি করে দেওয়া হয় নতুন রান্নাঘর ও শৌচালয়। এদিকে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রিয়াজুলের পরিবার "ছাত্র সমাজ"–এর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
অন্যদিকে সামির রহমান, ওবায়দুর রহমানদের কথায়, সবাই কমবেশি নিজের কাজে ব্যস্ত থাকেন। পড়াশোনার জন্য আমরাও ব্যস্ত থাকি। এরই মাঝে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আমরা একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছি। তার মাধ্যমেই মানুষজনের খোঁজখবর নেওয়া হয় এবং পাশে থাকার চেষ্টা করি। রিয়াজুল খুবই অসহায়। এরকম গরিব মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে ভালো লাগছে। আগামীতে আরও বেশি বেশি করে কাজ করতে চাই।

Post a Comment

0 Comments